আগামী বছরের জুন বা তার কাছাকাছি , সময়ে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে
দেওয়া হবে বলে আশা করছে সরকার।সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ ৮ শতাংশ এগিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের কার্যক্রমের বার্ষিক
প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন। এ সময় তিনি
প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও তথ্য উপস্থাপন করেন।গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান
বসানোর সঙ্গে সঙ্গে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান হয়।
ফলে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু।এর আগে
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এমবিইসি) সঙ্গে মূল
সেতুর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর সালের ডিসেম্বরে এটি চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।এ
আগামী বছরের জুন বা তার কাছাকাছি
পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে তিনবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে পদ্মা সেতুর কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।রোববার সকালে মাওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বরাদ্দকৃত প্লটের লিজ নথি হস্তান্তরকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।সেতুর অগ্রগতি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী ব্যবস্থাপনার কাজের অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার অবদান, পদ্মা
সেতু দৃশ্যমান—এটা আর স্লোগান নয়
দৃশ্যমান বাস্তবতা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে সাতটি পুনর্বাসন এলাকা নির্মাণ করা হয়েছে। এসব এলাকায় মোট ৩ হাজার ১১টি আবাসিক প্লট রয়েছে। এ পর্যন্ত টি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ৬১৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।টি বাণিজ্যিক প্লটের মধ্যে এ পর্যন্ত 61টি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে এবং 120টি বাণিজ্যিক প্লটের মধ্যে 82টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, ৬২৩টি ইজারা নথির মধ্যে ২০টি নথি আজ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই পাবে। কেউ বঞ্চিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।সেতু বিভাগের সচিব মো. মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান প্রমুখ। শফিকুল ইসলামসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন