গণপরিবহনে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী , যাত্রীদের জন্য ‘অর্ধেক পাস’ নিশ্চিত করার দাবি
জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, অর্ধেক ভাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি
নয়, অধিকার। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে অর্ধেক
ভাড়া নেওয়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।সোমবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ
সমিতির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহানগরসহ শহরতলীতে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া গড়ে
৬০ শতাংশ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বাকি ৩০ শতাংশ আসনের ভাড়া পরিশোধ
করেন যাত্রীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ। তাই শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের ৩০ শতাংশ আসনের
জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী
স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়াই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন খাতে অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ব্যয় দেখাচ্ছেন বাস মালিকরা। এভাবে এক্সক্লুসিভ ভাড়া বৃদ্ধি যাত্রীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাড়া মিটিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যাত্রীদের বাসে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা শহরে তথাকথিত সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে ওয়েবে যাত্রী প্রতি পাঁচ কিলোমিটার যাত্রায় ২৫ কিলোমিটার ভাড়া আদায় করা হয়। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তিন থেকে চারগুণ ভাড়া
গণপরিবহনে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী
নেওয়ায় নাগরিকদের জীবন বিষাক্ত হয়ে পড়েছে।যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, পরিবহন খাতে হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প পথ খুঁজছেন মানুষ। তাই শিক্ষার্থীদের অর্ধেক পাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণপরিবহনে দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যেমন বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, তেমনি অনেকেপঙ্গুত্বের অভিশাপের সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পাশাপাশি যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত আলোচিত হলেও গণপরিবহনে নারী নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে কম।নারী অধিকার কর্মীদের মতে, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন মহল থেকে নানা দাবি ও পরামর্শ দেওয়া হলেও গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আড়াল থেকে গেছে। নারীবান্ধব গাড়ির অভাব তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের একটি প্রধান কারণ। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নারীবান্ধব যানবাহন, চালক ও সহকারী থাকতে হবে।
নারীর জন্য যৌন হয়রানি এবং
নারীর জন্য যৌন হয়রানি এবং দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শিরোনামে গত বছর প্রকাশিত ব্র্যাকের একটি সমীক্ষা অনুসারে, দেশে গণপরিবহনে ভ্রমণের সময় 94% নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্যান্য ধরণের যৌন হয়রানির শিকার হন। বেশিরভাগ মহিলাই 41 থেকে 60 বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা 7 হারে যৌন হয়রানির শিকার হন। নারীদের যৌন হয়রানির প্রধান কারণ হল আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, বাসে অতিরিক্ত ভিড়, যানবাহনে পর্যাপ্ত আলোর অভাব ইত্যাদি।নারীরা প্রতিনিয়ত ঘরের ভেতরে ও বাইরে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেমন নিরাপত্তার অভাব নারীদের শহরে একা চলাফেরা। যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তাহীনতা, প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অনিশ্চয়তা নারীদের অবাধ চলাফেরাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়া অন্যান্য গণপরিবহনে যাতায়াতের সময়ও নারীরা অসম্মানজনক আচরণের শিকার হচ্ছেন। শুধু পরিবহন শ্রমিক নয়, চালক, সহকারী, কখনো কখনো পুরুষ যাত্রীদের দ্বারা নারীদেরও এমন যৌন সহিংসতার শিকার হতে হয়। গত ২০ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রের সঙ্গে ঘটেছিল। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে
আরো পড়ুন