ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ক্যান্টিনে , খাবারের দাম অস্বাভাবিকভাবে
বাড়ছে। তবে দিন দিন খাবারের মান খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা
বলছেন, ক্যান্টিনে একদিকে যেমন চাল ঘন হচ্ছে, অন্যদিকে ডালের ঘনত্ব কমছে।এ
অবস্থায় খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ ও মান উন্নয়নে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি ক্যান্টিনগুলোকে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।সোমবার বিকেলে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ দাবি
জানান। ‘খাদ্যমূল্য কমানো আন্দোলন’ ব্যানারে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা এই
সমাবেশের আয়োজন করে।সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে
ভর্তুকি বাড়িয়ে খাবারের দাম কমানো, হল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চালু করা এবং
খাবারের মান উন্নত করা ।ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য উমামা
ফাতেমা অভিযোগ করে বলেন, হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা
বেড়েছে। আগে একবেলা ২০-৩০ টাকায় খাওয়া যেত। সারাদিনের খাবার মিলবে ১০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ক্যান্টিনে
টাকায়। এখন দেড়শ-২০০ টাকায়ও সারাদিন খাবার নেই। শুধু খাবারের জন্যই মাসে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ করছে শিক্ষার্থীরা।সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত সাদ বলেন, খাবারের দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন; উল্টো তারা অন্যদের কাছে ক্যান্টিন লিজ দিচ্ছে।এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ফাহিম শিহাব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় বছরে যে টাকা খরচ হয়নি তা গেল কোথায়? ক্যান্টিনগুলো ইজারা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুনাফা নেওয়া হচ্ছে। ‘ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী কাজী রাকিব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব, কিন্তু তারা তা করছে না। করোনার আগে ক্যান্টিনে খাবারের দাম বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য এখন বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর নেই।সমাবেশ শেষে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ শেষে কলা ভবনের সামনে গিয়ে
সহযোগিতা যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি সারা
দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি জোরদার করাও জরুরি।শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, “এগুলো নেতৃত্ব ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখে।” কারণ, দীর্ঘ তিন দশক পর যখন ডাকসু নির্বাচন হলো, তখন কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদসহ বিভিন্ন নেতৃত্ব পর্যায়ে সাড়ে তিন শতাধিক বুদ্ধিমান ও মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী কাজ করেছেন। তারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং মিথস্ক্রিয়া মাধ্যমে অনেক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছে। ‘উপাচার্য বলেন, ডাকসু ।
আরো পড়ুন