পাবনার বেড়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তার , দেওয়া চিঠি কার্যকর ছিল কি না, তা ৪৮
ঘণ্টার মধ্যে জানাতে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাবনা
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে (বেড়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা) এ তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও
বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।উপ-
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বাতেন গত ১৬ নভেম্বর সংসদ
সদস্যের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে
ছিলেন আইনজীবী ড. খুরশীদ আলম খান ও মোঃ সাইফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।বেড়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৬
নভেম্বর। এর আগে ১৪ নভেম্বর সংসদ সদস্য শামসুল হককে চিঠি দেন পাবনা জেলানির্বাচন
কর্মকর্তা। এতে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগীরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী
কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। বেড়া পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন কোন প্রভাব ছাড়াই
পাবনার বেড়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তার
পরিচালনা করার জন্য, পৌর বিধিমালা (নির্বাচন পরিচালনা) এর বিধান অনুসারে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।আইনজীবী মোঃ সাইফুল আলম প্রথম আলো</em>কে বলেন, এই চিঠির পর ২১ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মায়াদা দেব না, গুঁড়িয়ে দেব’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর সংসদ সদস্য শামসুল হকের কাছে চিঠি পাঠান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ১৪ নভেম্বরের চিঠিটি বাস্তবায়িত হয়েছে কি না ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত। প্রতিবেদন আকারে বেড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর রিটটি কার্যতালিকায় আসবে। অপর একটি রিট আবেদনে মেয়র প্রার্থী আবদুল বাতেন ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছেচট্টগ্রামের বাকালিয়ায় কবরস্থানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পাঁচ মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া
পরে আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে বাকালিয়া থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।ওসি আরও জানান, মহিউদ্দিনকে রিমান্ডে নিয়ে ঘটনার দিন ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িত আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা ধরা পড়েনি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। অস্ত্রধারীদের মধ্যে মহিউদ্দিনের নামও রয়েছে।গত ১১ জুন চট্টগ্রামের বাকালিয়া কালামিয়া বাজারের আব্দুল লতিফ হাটখোলা রোডে বড় মৌলভীবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে স্থানীয় সাইফুল্লাহ মাহমুদের পরিবারের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় জনতা। ইয়াকুবের সেনাবাহিনীর লোকেরা। এরপর দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ইয়াকুব ও তার সহযোগী জাহেদুল ও ওয়াসিমের হাতে পিস্তল এবং মহিউদ্দিনের কাছে একটি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক ছিল। এলজি ছিল আলী আকবর ও নেজামের হাতে। তারা জমি দখলসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভাড়াটে হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুন