ব্রিটিশ কাউন্সিল স্বাধীনতার দুই দশক , আগে থেকেই বাংলাদেশে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ
করে আসছে। এদেশের তরুণদের বৈশ্বিক শিক্ষা ও জ্ঞানের সুযোগ প্রদানে এই সংস্থার একটি
বড় ভূমিকা রয়েছে। দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলও কাজ করছে। তারা
প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে কাজ করছেন বালাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিক্সন বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। সোমবার
সন্ধ্যায় রাজধানীর ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছর পূর্তি
উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভূমিকার প্রশংসা
করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ বিশিষ্টজনেরা।প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন,
ব্রিটিশ কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। বন্ধুত্বের এই দীর্ঘ
যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার অংশীদার
হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিলকে পেয়ে বাংলাদেশ গর্বিত। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত
ব্রিটিশ কাউন্সিল স্বাধীনতার দুই দশক
অনেক জায়গা আছে, যেখানে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্লোবাল চেয়ারম্যান স্টিভ স্প্রিং সিবিইকে বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হয়। কারণ, এগুলো শুধু করলে হবে না, একসঙ্গে করতে হবে। এর মূলে রয়েছে দুই দেশের জনগণের সঙ্গে মানুষের মিথস্ক্রিয়া, যা গত ৬০ বছরে গড়ে উঠেছে।ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিক্সন বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন তৈরি করেছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল এদেশের যুবকদের আত্ম-উন্নয়নের জন্য যা করছে তাতে আমি মুগ্ধ। বাংলাদেশ তার ৫০তম বছরে পৌঁছেছে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের বয়স ৭০ বছর।ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছবি: প্রথম আলোরবার্ট ডিক্সন বলেন, উভয় দেশই বাংলাদেশে
যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের কার্যক্রম পরিচালনা
করতে আগ্রহী। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই এদেশে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিসা। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর পর এই প্রথম প্রাঙ্গণে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের 70 তম বার্ষিকী উভয়ের জন্যই একটি বিশেষ বছর।ব্রিটিশ কাউন্সিল 1950 এর দশকের গোড়ার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি তলায় দুজন লন্ডনবাসীর মাধ্যমে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। “এখন আমরা শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি, আমরা প্রদর্শন করছি,” টম মিসা বলেছেন। সারা দেশে এখন তিনটি অফিস রয়েছে। 200 টিরও বেশি কর্মকর্তা কাজ করছেন, যাদের 95 শতাংশ বাঙালি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য হেলেন গ্রান্ট এবং ঢাকা থিয়েটারের পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। ঢাকা থিয়েটারে একটি নাটক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
আরো পড়ুন