মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীতের সিদ্ধান্ত জাতীয় পতাকা জাতীয় সংগীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক তাই সকল মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে হবে এবং জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দিপু মনি। গত মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর নাটোরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ও সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন জাতীয় পতাকাকে সম্মান সম্মান করার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা কিছু মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না মুক্তিযোদ্ধাদের সমান করতে জানে না বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে শিখে না এতে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করা হয়। তাই কোনো মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরণের আচরণ করতে না পারে এরজন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিবেন ডা দিপু মনি কারণ জাতীয় সংগীত যতগুলো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সকল মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীতের আহবান। কারণ জাতীয় সংগীত মেনে চলতে হবে নতুন বছরে নতুন নিয়মে মাদ্রাসায় এসব জাতীয় সংগীতের নিয়ম করা হবে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পাঠ করে যেতে হবে।

ডা দীপু মনি কঠোর সিদ্ধান্ত:
ডা দিপু মনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এসব নিয়ম অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এতে করে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের উপর দিয়ে বা মাদ্রাসার শিক্ষকের উপর শাস্তি প্রদান করা হবে। তাই সকল সরকারি মাদ্রাসা বলেন বেসরকারি মাদ্রাসা বলেন শিক্ষামন্ত্রীর যে আদেশ বা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসব সিদ্ধান্ত মেনে চলা একান্ত কর্তব্য।
ডা দিপু মনি আরো বলেন যদি কোনো মাদ্রাসায় দেখা যায় এসব বিরোধী তাহলে প্রতি রাষ্ট্রীয় বিচারের মোকাবেলা করতে হবে কারণ স্কুল এ জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় এখন থেকে নতুন নিয়ম চালু করেছেন ডা দিপু মনি স্কুল এ যেমন জাতীয় সংগীত পাঠ করা হয়ে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে হবে কারণ তাদের অর্জনের বিনিময়ে জাতীয় পতাকা আমরা অর্জন করেছি তাই আমাদের সবার উচিত মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা থাকতে হবে তাহলে তাদের আত্না শান্তি পাবে বলে মনে করেন ডা দিপু মনি।
জাতীয় সংগীতের সিদ্ধান্ত বললেন:
শিক্ষামন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাসী যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে চান তাদের অবশ্যই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানাতে হবে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে হবে মাদ্রাসার স্বার্থে মাদ্রাসাকে ফুটে তোলতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে জাতীয় সংগীতের বিনিময়ে তারা তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করবে তারা দেশকে ভালোবাসবে। দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হবে এসব দিক নির্দেশনা মেনে না চললে কঠিন শাস্তির মোকাবেলা করতে হবে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষরা।
এখন থেকে জানুয়ারি মাস থেকে প্রতিটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাইতে হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করে রাখতে যাবে বাংলাদেশ স্বাধীন করার মূল হাতিয়ার আমাদের জাতীয় পতাকাকে সম্মান ধরে রাখতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের সবার কারণ স্কুল কলেজে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র মাদ্রাসায় ব্যবহার করা হয় না এখন থেকে প্রতিটি মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত গাইতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানগুলো।